সম্প্রতি দ্বিতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ১১ নভেম্বর ২০২১ অনুষ্ঠিত হয়েছে -- কক্সবাজার জেলার তিনটি উপজেলায় দ্বিতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছেে। আর সেই ইউপি নির্বাচনে অনেক ইউনিয়নে ভোট কারচুপি অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এরই প্রেক্ষাপটে উপজেলা কাউয়ারখোপ ইউনিয়নে ৮ নং ভোট কেন্দ্র উখিয়ার ঘোনা টিলাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়-- এবং ৯ নং ভোট কেন্দ্র উখিয়ার ঘোনা লামারপাড়া দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসা- এই দুটি ভোট কেন্দ্রে ভোট নিয়ে অনেক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে । কলম মার্কার মহিলা মেম্বার প্রার্থী সালেহা বেগম জানান-- তার দুইটি ভোটকেন্দ্রে থেকে তার কলম মার্কার এজেন্টেদের কে মাইক মার্কার মহিলা মেম্বার প্রার্থী আনারকলির এজেন্টরা এবং পুলিশ সহ যোগসাজেস করে এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের ও ম্যানেজ করে আনারকলির কাছ থেকে মোটা অঙ্কের ঘুষ নিয়ে মাইক মার্কাকে একাধিক অবৈধ জাল ভোট প্রদান করে মাইক মার্কো কে নির্বাচিত ঘোষণা করে।.
এখনো পর্যন্ত ৮ নং এবং ৯ নং ভোট কেন্দ্রের ফলাফল কলম মার্কার প্রার্থী সালেহা বেগম ও তার এজেন্টদেরকে বুঝিয়ে না দিয়ে এককভাবে মাইক মার্কার প্রার্থী আনারকলিকে মহিলা মেম্বার হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। এতে করে খাওয়ারখোপ লামারপাড়া - ও কাউয়ার খোপ এবং টিলাপাড়া এলাকার সাধারণ ভোটারেরা খোভ প্রকাশ করেছেন ।এবং ৮ নং ভোট কেন্দ্র এবং ৯ নং পুনরায় ভোট গণনা করে সাধারণ ভোটারেরা এবং কলম মার্কার প্রার্থী কে বুঝিয়ে দেওয়ার জোর দাবি তোলেন । আর ৮ নং উখিয়ার ঘোনা টিলাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ছিলেন লিটন চন্দ্র পাল। এবং কাউয়ারখোপ ৯ নং উখিয়ার ঘোনা লামারপাড়া দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ছিলেন ইকবাল বাহার। প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। অভিযোগকারী কলম মার্কার মহিলা মেম্বার প্রার্থীর পক্ষে ৮ নং ভোটকেন্দ্রে এজেন্ট ছিলেন - যথাক্রমে আবুল কালাম- মোহসেনা আক্তার - কামরুন্নাহার - মোহাম্মদ ইমরান - মোহাম্মদ ইউনুস। ৯ নং ভোটকেন্দ্রে কলম মার্কার প্রার্থী সালেহা বেগমের পক্ষে এজেন্ট ছিলেন ।.
মর্জিনা আক্তার - মোহাম্মদ হাসান- মহাম্মদ হামিদ - অন্য এজেন্ট রা মাইক মার্কোর প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা গ্রহণ করে ভোট কেন্দ্রে থেকে পালিয়ে গেছে। এমনই অভিযোগ কলম মার্কার প্রার্থীর । কলম মার্কার প্রার্থী সালেহা বেগমের এজেন্টের কাছে মুঠোফোনে বক্তব্য নিতে চাইলে তারা বলেন - সকাল থেকে তারা ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন যতক্ষণ পর্যন্ত ভোটারেরা ভোট দিয়েছেন। ভোটগ্রহণের শেষে ভোট গণনার আগেই মাইক মার্কার প্রার্থী আনারকলি ও তার এজেন্টরা সহ সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং কর্মকর্তার সামনে পুলিশসহ যোগসাজশ করে কলম মার্কার এজেন্দের কে তাদের ভোটকেন্দ্রে আর লাগবে না বলে জোর পূর্বক বের করে দেয়। একই ঘটনা ঘটেছে ৮ নং এবং ৯ নং ভোট কেন্দ্রে। এলাকার সাধারণ ভোটারেরা অভিযোগ করছেন - তারা কলম মার্কার প্রার্থী সালেহা বেগম কে দলবল নির্বিশেষে হাজার হাজার ভোট দিলেও কেন সে নির্বাচিত হননি নিশ্চয়ই কারচুপি অথবা চুরি অথবা ডাকাতির মতো ভোট কেন্দ্রে কোন না কোন ঘটনা ঘটেছে।.
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মাইক মার্কার মহিলা মেম্বার প্রার্থী আনারকলির কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি । তাই এলাকার সাধারণ ভোটারে রা সহ এলাকার সচেতন মহলের জোর দাবি হচ্ছে ৮ নং এবং ৯ নং ভোট কেন্দ্রের ফলাফল পূর্ণভাবে গণনা করে জনসম্মুখে এলাকাবাসী এবং কলম মার্কার প্রার্থী সালেহা বেগম কে বুঝিয়ে দেওয়া হোক। অন্যতায় কলম মার্কার প্রার্থী সালেহা বেগম উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক পুলিশ সুপার সহ বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ করবেন। প্রয়োজনে ভোট ডাকাতি - অনিয়মের বিষয়ে আদালতে মামলা করবেন।. .
ডে-নাইট-নিউজ / দিদারুল আলম জিসান
আপনার মতামত লিখুন: